বেআইনীভাবে আটককৃত ব্যক্তি উদ্ধারে তল্লাশি যখন কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এইরুপ বিশ্বাস করিবার কারণ ধটে যে, কোন ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হইয়াছে যাহাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়, তখন তিনি তল্লাশী পরোয়ানা জারি করিতে পারেন এবং যাহার প্রতি পরোয়ানা নির্দেশিত হইবে, তিনি পরোয়ানা অনুসারে উক্ত আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে যদি পাওয়া তাহা হইলে অবিলিম্বে তাহাকে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিতে হইবে এবং তিনি ঘটনার পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত আদেশ দিবেন।
অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখা ও সদাচারণের মুচলেকা যখন কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়, কোন ব্যক্তি সম্ভবত শান্তিভঙ্গ করতে পারে বা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করিতে পারে অথবা এমন কোন অন্যায় কাজ করিতে পারে যাহার ফলে সম্ভবত শান্তিভঙ্গ হইতে পারে বা সর্বসাধারণের প্রশান্তি বিনষ্ট হইতে পারে তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন ব্যবস্থা গ্রহণের পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে ম্যাজিস্ট্রেট যাহা উপযুক্ত মনে করেন শান্তি রক্ষার জন্য জামিন্দারসহ বা ব্যতীত একটি মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হইবে না উহার কারণ দর্শাইতে বলিতে পারেন
রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বিষয় প্রচারকারী ব্যক্তির নিকট হইতে সদাচরণের মুচলেকা: যখন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা অন্যকোন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এই মর্মে জানিতে পারেন যে , তাহার এখতিয়ারের সীমার মধ্যে কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত সীমার বা প্রচারে সহায়তা করিতেছে ভিতরে বা বাহিরে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করিতেছে বা প্রচারের চেষ্টা করিতেছে ( ক ) কোন রাষ্ট্রদ্রোহীমূলক বিষয় , অর্থাৎ , যাহা প্রচার করা দণ্ডবিধির ১২৩ ক বা ১২৪ ক ধারার অধীন দণ্ডনীয় , অথবা ( খ ) কোন বিষয় যাহা প্রচার করা দণ্ডবিধির ১৫৩ ক ধারার অধীন দণ্ডনীয় , অথবা কোন বিচারকের ব্যাপারে কোন বিষয় যাহ া দণ্ডবিধির অধীন অপরাধজনক ভীতি প্রদর্শন বা মানহানির সামিল ; ( গ ) তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট , যদি মনে করেন যে , ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে , তাহা হইলে তিনি ( অতঃপর বর্ণিত উপায়ে ) যে সময় নির্ধারণ করা উপযুক্ত মনে করেন ঐ সময়ের মধ্যে , যা এক বৎসরের অধিক নহে উক্ত ব্যক্তি সদাচরণের নিমিত্ত জামিনদার সহ বা ব্যতীত একটি মুচলেকা কেন সম্পাদন করিবে না তাহার কারণ দর্শাইতে বলিবেন ।
ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সদাচারণের মুচলেকা যখন কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কবর পান যে (ক) তাহার অধিক্ষত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোন ব্যক্তি তাহার উপস্থিতি গোপন করিবার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করিতেছে এবং এইরুপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে যে উক্ত ব্যক্তি কোন অপরাধ করিবার জন্য উক্ত সতর্কতা অবলম্বন করিতেছে অথবা (খ) উক্ত সীমার মধ্যে এইরুপ কোন ব্যক্তি রহিয়াছে যাহার জীবিকা নির্বাহের কোন প্রকাশ্য পন্থা নাই অথবা সেই ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কোন সন্তোষজনক বিবরণ দিতে পারে না তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর বর্নিত উপায়ে উক্ত ব্যক্তিকে কেন এক বছরের অনধিককালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট যতদিন উপযুক্ত মনে করবেন সদাচারণের নিমিত্ত জামিনদারসহ মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হইবে না তাহাকে উহার কারণ দর্শাতে বলিতে পারিবেন।
অভ্যাসগত অপরাধীদের সদাচারণের মুচলেকা: যখন কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা এই সম্পর্কে সরকার কতৃক দেওয়া ক্ষমতায় বিশেষভাবে ক্ষমতাবান অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পান যে তাহার অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোন ব্যক্তি (ক) অভ্যাসগতভাবে দস্যু, গৃহভঙ্গকারী চোর বা জালিয়াত অথবা (খ) অভ্যাসগতভাবে চোরাই জানিয়া চোরাইমাল গ্রহণকারী অথবা (গ) অভ্যাসগতভাবে চোরদের রক্ষা করিয়া বা আশ্রয় দিয়া থাকে অথবা চোরাইমাল গোপন করিতে বা হস্তান্তরে সাহায্য করিয়া থাকে অথবা (ঘ) অভ্যাসগতভাবে ব্যক্তি অপহরণ, ফুসলাইয়া নিয়া যাওয়া, বলপূর্বক সম্পত্তি আদায় প্রতারণা বা ক্ষতিসাধন (ঙ) অভ্যাসগতভাবে শান্তিভঙ্গ সম্পর্কিত কোন অপরাধ করে বা করিবার চেষ্টা করে বা করিবার সহায়তা দেয় অথবা (চ) এইরুপ দুর্দান্ত ও বিপজ্জনক প্রকৃতির যে ,জামানত ব্যতীত তাহাকে মুক্ত রাখা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর বর্নিত উপায়ে উক্ত ব্যক্তিকে তিন বছরীর অনধিক যে কোন সময়ের জন্য, পরিস্থিতি বিবেচনায় ম্যজিস্ট্রেট যতদিন উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন, সদাচরনের নিমিত্ত জামিন্দারসহ মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হইবে না কেন তাহাকে উহার কারণ দর্শাইত বলিতে পারিবেন
উৎপাত আশংকিত বিপদের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ সম্পুর্ণ আদেশ জারীর ক্ষমতা মানুষের জীবন,স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তা বিপন্ন হবার আশংকা দেখা দিলে এই ধারার প্রয়োগ করা হয়। যখন গণ-শান্তি বিঘ্নিত হয়, দাঙ্গা বা মারামারির আশংকা দেখা দেয়, তখনকার পরিস্থিতিতে তাৎক্ষনিক প্রতিকারমুলক ব্যবস্থা এ ধারায় গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। যদি বোঝা যায় পরিস্থিতি খুবই জরুরী, তাহলে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট দুই মাসের জন্য একতরফাভাবে লিখিত আদেশ দিয়ে যে কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ থেকে বিরত থাকতে কিংবা কোন সম্পত্তিতে তার নির্দেশ মতে কাজ করতে বাধ্য করতে পারেন।
জমি ইত্যাদি সম্পর্কিত বিরোধের ফলে শান্তি ভঙ্গের আশংকা থাকিলে পদ্ধতি যখন কোন জেলা ম্যজিস্ট্রেট বা সরকার কতৃক বিশেষ ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট পুলিশ রিপোর্ট বা অন্য কোনভাবে সংবাদ পাইয়া এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে তাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে জমি বা পানি বা উহার সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিরোধ রহিয়াছে যাহা শান্তি ভঙ্গ ঘটাইতে পারে তখন তিনি তাহার এইরূপ সন্তুষ্ট হইবার কারণ উল্লেখ করিয়া তাহার দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্লিষ্ট পক্ষগণকে শরীরে বা কৌসুলীর মাধ্যমে তাহার আদালতে হাজির হইবার এবং বিরোধের বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে তাহাদের নিজ নিজ দাবী সম্পর্কে বিবৃতি পেশ করিবার নির্দেশ দিয়া একটি লিখিত আদেশ দিবেন
Copyrights © 2025 All Rights Reserved To a2i, Government of the People's Republic of Bangladesh